জন্ম কুণ্ডুলীর সপ্তম ঘর হল লগ্নের বিপরীত ঘর।যে ঘর থেকে যে কোন জাতক-জাতিকার জীবনসঙ্গী,পার্টনার এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের বিচার করা হয়ে থাকে।সেই সাথে আমাদের বিপরীতের সেইসব ব্যক্তিরও বিচার উক্ত ঘর থেকে করা হয়,যাদের সাথে আমরা দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন প্রকারের আদান-প্রদান করি ।
সপ্তম ঘরের শুভাশুভ ফল
সপ্তম ঘর,ঘরের অধিপতি ও কারক গ্রহের উপর নির্ভর করে,উক্ত ঘর সম্বন্ধীয় শুভাশুভ ফলের বিষয়।উক্ত ঘর,ঘরের অধিপতি ও কারক শুভ অবস্থানে থাকলে জাতক-জাতিকা উক্ত ঘরের বিষয়ে শুভফল লাভ করেন।আর অশুভ অবস্থানে থাকলে শুভফল প্রাপ্তিতে সমস্যার সন্মুখীন হতে হয় ।
শনি গ্রহের বৈশিষ্ট্য
শনি হলেন ন্যায় ও কর্মের অধিপতি গ্রহ।তথা কর্ম ফলের দাতা গ্রহ।আমরা যেমন কর্ম করি শনিদেব আমাদেরকে তেমন ফল প্রদান করেন।ভালো কর্ম করলে ভালো ফল।আর খারাপ কর্ম করলে খারাপ ফল।শনিদেবের কর্মফলের মধ্যে উনি কোনভাবেই কোন ধরনের কাটছাঁট করেন না ।তথা খারাপ কর্ম করলে খারাপ ফল পেতেই হয়। যার কারণে শনিকে ক্রুর গ্রহ হিসাবে মানা হয় ।
শনির শুভফল পাওয়ার উপায়
সপ্তম ঘরে শনি অবস্থান করলে,শনির সপ্তম দৃষ্টি পড়ে লগ্ন বা রাশি স্থানে।যার ফলে সপ্তম ঘরের বৈশিষ্ট্য বজায় রাখার জন্য জাতক-জাতিকাকে শনির আদর্শ অনুসারে চলতে হয়।তথা কর্মক্ষেত্রে ধর্ম,ন্যায়-নীতি বজায় রেখে চলতে হয়।জীবনসঙ্গী হোক বা পার্টনার বা যে কোন ব্যক্তির সাথে যে কোন প্রকারের আদান-প্রদানে শনির আদর্শ অনুসরণে চলা শুভফল দায়ক হয় ।
কুণ্ডুলীর যে কোন একটি ঘরের বৈশিষ্ট্যও সেই ঘরের বিপরীত ঘরের সাথে উপযুক্ত ভারসাম্য গড়ার মধ্যে দিয়ে বজায় রাখা যায়।ভারসাম্য ভালো গড়ে তুলতে পারলে ঘরের বৈশিষ্ট্য ভালো হয়।আর ভালো গড়ে তুলতে না পারলে ঘরের বৈশিষ্ট্যও ভালো হয় না।শনির আদর্শের সাথে যুক্ত হয়ে চলার মধ্যে দিয়ে সেই ভারসাম্য সুন্দর করে তোলা যায় ।
উপসংহার
শনির আদর্শ অনুসারে চলার মধ্যে দিয়ে লগ্ন বা রাশি ও সপ্তম ঘরের মধ্যে উপযুক্ত ভারসাম্য গড়ার মধ্যে দিয়ে উক্ত ঘরের প্রত্যেকটি বিষয়ে শুভফল পাওয়া যায়।তথা বিবাহিত জীবনের সুখ-শান্তি বা ব্যবসা-বাণিজ্য সব ক্ষেত্রেই সফলতার প্রাপ্তি হয়।সুখ ও শান্তিতে জীবন অতিবাহিত করা যায় ।
আরো জানুন